
প্রকাশিত: Fri, Jan 20, 2023 10:16 AM
আপডেট: Mon, Jun 16, 2025 1:17 AM
প্রিয় জাফর ইকবাল স্যারের উদ্দেশে
আমিনুল ইসলাম
পত্রিকায় কলাম লিখব অবশ্যই। তাঁর আগে বরং এই খোলা চিঠিটি লিখে নিই। সময়টা গত শতাব্দী। আমার জন্ম ঢাকাতে। বাসাও ঢাকাতেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও চান্স পেয়েছিলাম। কিন্তু পড়তে গিয়েছি সিলেটের শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে। এর পেছনে অনেক বড় কারণ ছিলেন আপনি। হ্যাঁ, আপনি শুধু আমাদের শিক্ষকই নন। অনুপ্রেরণার উৎস ছিলেন সবসময়। সেই আপনাকে যখন নিজ কানে গত পরশু একটা জিনিস বলতে শুনলাম। তখন মনে হলো, এটাও সম্ভব? টেলিভিশনের উপস্থাপক আপনাকে জিজ্ঞেস করেছে, পাঠ্যবইয়ে রেফারেন্স দেওয়ার সুযোগ আছে নাকি? উত্তরে আপনি বলেছেন, না, নেই। এর পরের দিন অবশ্য আপনি ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন। সপ্তম শ্রেণির পাঠ্য বইয়ে যা হয়েছে। সেটাকে আমি আসলে খুব একটা বড় কিছু মনে করিনি। এমন তো যুগের পর যুগ ধরেই চলে এসছে। কিন্তু আপনি একটি জাতীয় টেলিভিশনে এসে বলছেন, পাঠ্যবইয়ে রেফারেন্স দেবার সুযোগ নেই। এটা কী করে সম্ভব? আপনার কথা আমার মতো অনেকের কাছে বেদ-বাক্যের মতো। আমি মনে করেছিলাম, হয়তো আমিই জানি না। কিন্তু এরপর আমি এই দেশের স্কুল শিক্ষকদের জিজ্ঞেস করেছি, তোমাদের বইতে কী রেফারেন্স থাকে? ওরা আমাকে খুলে দেখিয়েছে, থাকে। আমি এরপর জিজ্ঞেস করেছি, হয়তো শুধু তোমাদের দেশেই থাকে।
ওরা আমার কথা শুনে অবাক হয়েছে। এখন আমার প্রশ্ন, আপনি কী করে এমন একটা উত্তর দিলেন? অনেক দিন হয় যোগাযোগ নেই স্যার আপনার সঙ্গে। তবে একবছর আগে সিলেটের শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলে-মেয়েরা যখন আন্দোলন করছিল, তখন আপনি তাদের থামিয়েছিলেন এই বলে, উচ্চ মহলের সঙ্গে আপনার কথা হয়েছে। স্যার, একটা প্রশ্ন আপনার কাছে। উচ্চ মহলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা হলে কি মানুষজন শেষ পর্যন্ত সবাই একই পথে হাঁটে? আপনি কি এখন আমাদের আপনার দেখানো এই পথে হাঁটতে বলছেন? আমার মতো আপনার এমন অনেক ভক্তের মাঝে সংশয় দানা বেঁধেছে স্যার। কারণ আপনি সিলেটের ওই ঘটনার জন্য আজ অবদি ওই ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে ক্ষমা চাননি। ওরা আমাকে মাঝে মাঝেই লিখে। ওই ভিসি কিন্তু আজ অবদি সেখানেই আছে। এখন যদি স্কুলের ছাত্ররা আমাদের জিজ্ঞেস করে, বইয়ে কি রেফারেন্স দিতে হয় কিনা? আমরা কী তাহলে বলবো, দিতে হয় না? বইয়ের শেষে ছোট একটা রেফারেন্স লিস্ট তো দেখছি এইসব দেশের পাঠ্য বইতে থাকে। তাহলে কেন আপনি এই কথা বলেছেন? আমাদের এইসব সংশয় দূর করার দায়িত্ব আপনাদের ছিল। আপনাদের আমরা শ্রদ্ধা এবং বিশ্বাস করে এসেছি। বাদ বাকিটা না হয় বড় কলাম লিখেই জানান দেবো। ফেসবুক থেকে
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
